লাতিন আমেরিকার অন্তর্গত দেশ পেরুতে পাহাড়ী রাস্তায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়। পাহাড়ি রাস্তায় চলমান যাত্রীবাহী একটি বাস ছিটকে নিচে পড়ে যায় এবং তাতে প্রাণহানি ঘটে। পেরুতে প্রায়শই এ ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বার্তাসংস্থা এএফপি ১৫ মে, বুধবার এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে- “মঙ্গলবার পেরুতে পাহাড়ি আয়াকুচো অঞ্চলে ভ্রমণের সময় একটি বাস নিচে ছিটকে পড়ার পর অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বাসটি আন্দিজের ওপর দিয়ে ভ্রমণের সময় ৪০ জনেরও বেশি যাত্রী বহন করছিল, যেখানে এই ধরনের ট্র্যাজেডি অস্বাভাবিক কিছু নয়।” আয়াকুচোর কর্মকর্তা ওয়াইবার ভেগা সাংবাদিকদের বলেন, “১৩ জনের মৃতদেহ ইতোমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরও তিনজনকে বাসের নিচ থেকে উদ্ধার করা বাকি রয়েছে। দুর্ঘটনায় মোট ১৬ জন নিহত হয়েছেন।” একই সাথে সেখানে চলছে শিলাবৃষ্টিসহ বৈরী আবহাওয়া। এ কারণে মৃতদেহ উদ্ধারেও সমস্যা ও বিলম্ব হচ্ছে। এএফপি জানিয়েছে, “দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি লিবার্তাদোরস হাইওয়ের আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে লিমা থেকে আয়াকুচো শহরে যাচ্ছিল বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। একপর্যায়ে বাসটি উল্টে একটি ঢালে গড়িয়ে পড়ে।”
পেরুতে বাস দুর্ঘটনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাতে হয়ে থাকে। পাহাড়ি রাস্তার ঢাল থেকে গাড়ি উল্টে যাওয়া, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যাওয়া ভহাবহ অবস্থার সৃষ্টি করে। পাশাপাশি গাড়ির দ্রুতগতি, রাস্তার দুরবস্থা, রোড সাইনের অপর্যাপ্ততা ও ট্রাফিক নিয়মের দুর্বল কাঠামোর কারণে এ দেশের পাহাড়ী রাস্তায় প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগে এরকম আরো একটি দুর্গটনা ঘটেছিল। গত ৩০ এপ্রিল পাহাড়ি রাস্তা ৬৫০ ফুট খাদে পড়ে যায় একটি বাস। তখন নিহত হয় ২৫ জন এবং আহত হয় আরো অনেকে। গত বছরের নিবন্ধিত তথ্য অনুসারে, দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বছরে ৩১৩৮ এরও বেশি প্রাণহানি ঘটে। সরকারি তথ্যমতে, “৭০ শতাংশ দুর্ঘটনা চালকের অক্ষমতা বা ক্লান্তির মতো কারণে হয়ে থাকে”।